শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
‎বরিশালে খাবারের সন্ধানে এসে জালে আটকা মেছো বাঘ চৌদ্দগ্রামে মালবোঝাই মিশুক উল্টে চাপা পড়ে চালক নিহত মুন্সিগঞ্জ জেলা অনলাইন প্রেসক্লাব নির্বাচন সভাপতি সৌরভ, সম্পাদক রলিন স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে অন্য মানুষ দিয়ে ৩দিন ধরে ধর্ষণ কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণার দাবীতে চৌদ্দগ্রামে সমাবেশ শাহজাদপুরে জামায়াতের বিশাল নির্বাচনী জনসভা টেকসই শিল্প ও প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য উৎপাদনের যাত্রা শুরু রুহিয়ায় ​ভূয়া কবরস্থান সংরক্ষণ কমিটির পথসভার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন খুবির এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ট্যুর: মাঠ পর্যায়ে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা রাজাপুরে বাস চাপায় বিএনপি নেতা নিহত চৌদ্দগ্রামে রং মিস্ত্রী আবু হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন রামপালে সেনা অভিযানে ইয়াবা-গাঁজা-হেরোইনসহ যুবক আটক নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএনজির ধাক্কায় আহত শিক্ষার্থী, চালককে জরিমানা ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু পবিপ্রবিতে বাঁধন’র ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল শিল্পকলায় আসছে জবি নাট্যকলা বিভাগের ‘ডিজায়ার আন্ডার দ্য এলমস’ কুবিতে জুনিয়র কর্তৃক সিনিয়র হেনস্তার অভিযোগ ৭ দফা দাবিতে কুড়িগ্রামে সওজ কর্মচারীদের স্মারকলিপি প্রদান মুন্সিগঞ্জে দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

রামদা হাতে রাজাকার বধ করা সাহসিনী বীরাঙ্গনা সখিনা বেগম আর নেই

 

দিনার, নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মৃত্যু বরণ করেছেন । আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সখিনা বেগমের ভাগনী ফাইরুন্নেছা আক্তার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। বীরাঙ্গনা সখিনা বেগমের পিতার নাম মৃতঃ সোনাফর মিয়া এবং মাতার নাম মৃতঃ দুঃখী বিবি।

তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে আসরের নামাজ শেষে নিকলী উপজেলার গুরুই মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে গুরুই এলাকার কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

এলাকাবাসী এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামের সখিনা বেগম ছিলেন অন্যতম। ১৯৭১ সালে রণাঙ্গনে অংশ নিয়ে তিনি একাই রামদা দিয়ে কুপিয়ে পাঁচজন রাজাকারকে হত্যা করেছিলেন বলে জানা গেছে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন সখিনা বেগম। ১৯ অক্টোবর নিকলী উপজেলাকে পাকহানাদার ও রাজাকারমুক্ত করার অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে তার বোনের ছেলে মতিউর রহমান পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে শহীদ হন।

অক্টোবরের শেষ দিকে মুক্তিযোদ্ধারা বড় ধরনের আক্রমণ চালালে বহু পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকার নিহত হয়। ওই অভিযানে সখিনা বেগম একাই রামদা দিয়ে পাঁচজন রাজাকারকে হত্যা করেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা। তার ব্যবহৃত রামদাটি বর্তমানে ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে এবং নামফলকে বীরাঙ্গনা সখিনা বেগমের নাম উল্লেখ আছে।

নারী হয়েও যুদ্ধের ময়দানে সাহসিকতা দেখানোয় ১৯৯৮ সালে তৎকালীন সরকার তাকে ৫০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করেন। নিঃসন্তান সখিনা বেগম স্বামী-হারা অবস্থায় বরমাইপাড়া এলাকায় খালার বাড়িতে আশ্রিত থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

নিকলী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইদ্রিছ আলী ‘জনপদ সংবাদ’ কে বলেন, সখিনা বেগম ছিলেন এক দুঃসাহসিক নারী মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধের পরও স্থানীয় অনেক রাজাকার তার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিলো। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩